মহাত্মার লক্ষণ




👉মহাত্মার লক্ষণ 
মহাত্মানঃ তু মাম্ পার্থ দৈবীম্ প্রকৃতিম্ আশ্রিতাঃ
ভজন্তি অনন্যমনসঃ জ্ঞাত্বা ভূত আদিম্ অব্যয়ম্।।
শ্রীমদ্ভগবদগীতা ৯/১৩
অনুবাদঃ হে পার্থ, মোহমুক্ত মহাত্মাগন আমার দৈবী-প্রকৃতিকে আশ্রয় করেন। তাঁরা আমাকে সর্বভূতের কারণ ও অবিনাশী জেনে অনন্য চিত্তে আমার ভজনা করেন।
তাৎপর্যঃ এই শ্লোকে স্পষ্টভাবে যথার্থ মহাত্মার স্বরুপ বর্ণনা করা হয়েছে। যথার্থ মহাত্মার প্রথম লক্ষণ হচ্ছে যে, তিনি সর্বদাই দিব্য প্রকৃতিতে অধিষ্ঠিত হয়ে থাকেন। তিনি কখনই জড়া প্রকৃতির মায়ার অধীন হন না। আর তা কিভাবে হয়? সপ্তম অধ্যায়ে তার ব্যাখ্যা করা হয়েছে -পরম পুরুষোত্তম ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শরণাগত জীব অবিলম্বে জড়া প্রকৃতির মায়ামুক্ত হয়ে যায়। এটাই হচ্ছে তার যোগ্যতা। শ্রীকৃষ্ণ ব্যতীত আর কোন কিছুর দিকেই মহাত্মা তাঁর মনোযোগ বিক্ষিপ্ত করেন না, কারণ তিনি খুব ভালভাবেই জানেন যে, শ্রীকৃষ্ণই হচ্ছেন আদি পরম পুরুষ, তিনিই হচ্ছেন সর্বকারণের পরম কারণ। এই সম্পর্কে কোন সন্দেহ নেই এই চিত্তবৃত্তির উন্মেষ হয় অন্য মহাত্মা বা শুদ্ধভক্তের সঙ্গ লাভ করার ফলে।

Post a Comment

0 Comments

Close Menu