আসুরিক মনোবৃত্তি




👉আসুরিক মনোবৃত্তি
অবজানন্তি মাম্ মূঢ়াঃ মানুষীম্ তনুম্ আশ্রিতম্।
পরম্ ভাবম্ অজানন্তঃ মম ভূত মহেশ্বরম্।।
শ্রীমদ্ভগবদগীতা ৯/১১
অনুবাদঃ আমি যখন মনুষ্যরুপে অবতীর্ণ হই তখন মূর্খেরা আমাকে অবজ্ঞা করে। তারা আমার পরম ভাব সম্বন্ধে অবগত নয় এবং তারা আমাকে সর্বভূতের মহেশ্বর বলে জানে না।
তাৎপর্যঃ শ্রীকৃষ্ণের বিগ্রহ এই সমস্ত চিদ্গুণ-সমন্বিত হওয়া সত্ত্বেও ভগবদ্গীতার অনেক তথাকথিত বিদ্ধান ব্যাখ্যাকারেরা শ্রীকৃষ্ণকে সাধারণ মানুষ বলে অবজ্ঞা করে। পূর্বজন্মের পূর্ণ কর্মের ফলে এই ধরনের বিদ্ধানেরা অসাধারণ প্রতিভাবান হতে পারে, কিন্তু শ্রীকৃষ্ণের সম্বন্ধে এই ধরনের ভ্রান্ত ধারণা  তাদের জ্ঞানের স্বল্পতারই পরিচায়ক। তাই ভগবদগীতায় তাদের মূঢ় বলা হয়েছে, কারণ পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণের অন্তরঙ্গ লীলাসমূহ এবং শক্তির বৈচিত্র্য সম্বন্ধে যারা অজ্ঞ, তারাই তাঁকে সাধারণ মানুষ বলে মনে করে। এই ধরনের মূঢ় লোকেরা জানে না যে, শ্রীকৃষ্ণের বিগ্রহ সমস্ত সৎ, চিৎ এবং আনন্দের উৎস, তিনিই হচ্ছেন সমস্ত সৃষ্টির অধীশ্বর এবং তিনি যে কোন জীবকে জড় জগতের বন্ধন থেকে মুক্ত করতে পারেন। শ্রীকৃষ্ণের এই সমস্ত অপ্রাকৃত গুণসমূহের কথা না জানার ফলে এই ধরনের মূঢ় লোকেরা তাঁকে উপহাস করে।

Post a Comment

0 Comments

Close Menu